আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

  


আব্দুস সাত্তারের মেয়ে জান্নাত জাহান শেফার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এবার এই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী, ভবনের কেয়ারটেকার যা বললেন, তা আরও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

কেয়ারটেকার জানান, “রাত প্রায় ৪টা বাজে, হঠাৎ সাবলেট ভাড়াটে ফোন করে বলে দরজা খুলছে না, মেয়েটি বলছে—পুলিশ আসার আগে খুলবে না। আমি ওপরে গিয়ে দেখলাম দরজায় লক। বললাম, কী হয়েছে? ওরা জানায়, পুলিশ আসবে, দরজা তখনই খোলা হবে। আমি আর কিছু না বলে নিচে নেমে আসি।”

এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে দরজা খুলে ফেলে এবং তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়—শেফা, তার দুই সঙ্গিনীসহ। এরপর থেকে ওই ফ্ল্যাটে আর কাউকে দেখা যায়নি বলে জানান কেয়ারটেকার। পরদিন প্রশাসন এসে ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যায়।

ঘটনার তদন্তে জানা গেছে, ২০১৯ সালে আব্দুস সাত্তার এক নারীকে বিয়ে করেন, যার ঘরে আগে থেকেই ছিলেন শেফা। স্ত্রীর মৃত্যুর পর শেফা অভিযোগ করেন, তার বাবাই তাকে ধর্ষণ করেছেন। ২০২২ সালে নাটোরে একটি ধর্ষণ মামলাও দায়ের করেন তিনি।

এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা চলে দুই পক্ষের মধ্যে। বাবার দায়ের করা চুরির মামলার জেরেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে আব্দুস সাত্তার দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানা গেছে।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পুরো তদন্তে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Comments

Popular posts from this blog

মাগুরার সেই শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বড় বোনের জন্য ছোটো বোনের প্রাণ গেল, সত্য ফাঁ..স করলেন আছিয়ার চাচি

অবশেষে সত্য ঘটনা বললেন আছিয়ার বোন